সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামে স্ত্রীর পুত্র সন্তান না হওয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে ৪০ দিন বয়সী জিদনী নামের এক কন্যা সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে বাবা জাহাঙ্গীর সিকদার। বাবার হাতে শিশু কন্যা সন্তানের হত্যার ঘটনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
শনিবার (১৮ শনিবার) পুলিশ পাষন্ড বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবা জাহাঙ্গির শিশু কন্যা হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি আবুল বাশার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গোছখালী গ্রামের জাহাঙ্গীর সিকদার ও সীমা দম্পতির সোহাগী (৯) এবং জান্নাতী (৩) বছরের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর ওই দম্পতির জিদনী নামের আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বাবা জাহাঙ্গির কন্যা সন্তান জন্মের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। তিনি একটি পুত্র সন্তানের আশা করেছিলেন।
এ কন্যা শিশু জন্মের পর থেকেই জাহাঙ্গির তার স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। প্রতিবেশীদের অভিযোগ কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকেই জাহাঙ্গির স্ত্রীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এবং কন্যা সন্তানটি ছুয়েও দেখেননি তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাবা জাহাঙ্গীর সিকদার জিদনিকে নিয়ে ঘরে শুয়ে ছিল। এ সময় তার স্ত্রী সীমা বেগম এবং তার শ্বাশুরী পারুল বেগম ঘরের বাহিরে গৃহস্থলী কাজ করছিলেন। শিশুটির মা সীমা বেগম এবং নানী পারুল বেগম কাজ শেষে রাত ১১টার দিকে ঘরে প্রবেশ করে শিশু জিদনি ও তার বাবাব জাহাঙ্গিরকে দেখতে না পেয়ে ডাক চিৎকার দেয়। এতে প্রতিবেশীরা এবং বাড়ির অন্যান্য লোকজন ছুটে আসে।
পরে স্বজনরা খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘরের পিছনের ডোবা থেকে কাঁথায় মোড়ানো বিছানাপত্রসহ জিদনির মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ রাত তিন টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেন। এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পাষন্ড বাবা জাহাঙ্গীর সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
Leave a Reply